আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে পদার্পণ

দেশের ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ ১ জুলাই শতবর্ষে পদার্পণ করছে। ১৯২১ সালের জুলাইয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়েছিল। ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা থাকলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তা বাতিল করা হয়েছে।

শতবর্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন–সংগ্রামের সঙ্গে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জন্ম হয়েছে বহু গুণী ও সৃষ্টিশীল মানুষের। প্রতিবছর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। ফলে ফিকে হয়ে গেছে
উৎসবের আমেজ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় উপাচার্য-কার্যালয়সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সভায় যুক্ত হয়ে ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক মূল বক্তব্য দেবেন৷ এই অনুষ্ঠানে সাবেক দুজন উপাচার্য, দুজন ডিন, একজন প্রাধ্যক্ষ, একজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট, বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির নেতাসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতারা যুক্ত হবেন।

উপাচার্য এক শুভেচ্ছাবাণীতে বলেছেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লোকসমাবেশ এড়িয়ে প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীবিহীন স্বল্পপরিসরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে আনন্দ, প্রশান্তি ও স্বস্তির ঘাটতি অনস্বীকার্য। তবে মুজিব বর্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির দুই অন্তহীন প্রেরণা-উৎস৷’