কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়ায় ডুবোচরে ফেরি আটকে চলাচল বন্ধ

মাদারীপুর
মাদারীপুর

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে নৌপথের বিকল্প চ্যানেলে একটি বড় ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়লে নৌপথে সব ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বুধবার সকাল থেকে ডুবোচরে আটকে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজ। তবে এ নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক আছে।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উভয় ঘাটেই আটকা পড়েছে আট শতাধিক যানবাহন। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এই নৌপথে আসা যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট সূত্র জানায়, এই নৌপথে সচল রয়েছে ১৮টি ফেরি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ডুবোচরে আটকে পড়ার দুর্ঘটনা এড়াতে বর্তমানে চলাচল করছে ছয় থেকে সাতটি ফেরি। চলাচলরত এই ফেরিগুলোতে সীমিত আকারে যানবাহন পারাপার হয়। গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, ব্যক্তিগত যানবাহন ও শতাধিক যাত্রী নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রো রো ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। নৌপথের বিকল্প চ্যানেলে প্রবেশ করলে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের মুখে পড়ে ফেরিটি। স্রোত সামলাতে না পেরে এটি যানবাহন ও যাত্রীদের নিয়ে ডুবোচরে আটকে যায়। চ্যানেলে ফেরি আটকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ছোট–বড় সব ধরনের ফেরি চলাচল। বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজ আইটি ৩৯৬ বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীরকে উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরির গ্রিজার অজয় রায় মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আটকে পড়া ফেরিতে ৪টি যাত্রীবাহী বাস, ৩টি পণ্যবাহী ট্রাক, ১০টি মাইক্রোবাস ও বেশ কিছু মোটরসাইকেল রয়েছে। ফেরিতে ওঠা কিছু যাত্রীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নৌরুটের একই স্থানে গত সোমবার রাত ১২টায় ফেরিটি ডুবোচরে আটকে যায়। সারা রাত আটকে থাকার পর সকাল নয়টায় ডুবোচর থেকে মুক্তি পায়। এরপর গতকাল বিকেলে জাহাঙ্গীর ও কাকলি নামের দুটি ফেরি একই স্থানে এক ঘণ্টা আটকা পড়ে। সন্ধ্যার পরে আমাদের ফেরিটি আবারও ডুবোচরে আটকা পড়ে।’

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মায় তীব্র স্রোতে একটি বড় ফেরি চ্যানেল ঘুরতে গিয়ে ডুবোচরে আটকে পড়েছে। ফেরিটি ডুবোচরে আটকে যাওয়ায় আমরা কোনো ফেরি ছাড়তে পারছি না। তাই মঙ্গলবার রাত থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।’

ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আটকা পড়া ফেরিটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধারকারী জাহাজ কাজ করছে। তবে, কখন নাগাদ উদ্ধার হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফেরিটি উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত কোনো ফেরি চলাচল করতে পারবে না। হঠাৎ ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ঘাটে প্রায় চার শ যানবাহন আটকা পড়েছে। শিমুলিয়া ঘাটেও একই রকম যানবাহনের চাপ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’