নরসিংদীতে কোভিড রোগী ১৪০০ ছাড়াল

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

নরসিংদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৫ জন ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৪১৩। এ পর্যন্ত আইসোলেশনমুক্ত, অর্থাৎ সুস্থ হয়েছেন ৯২৪ জন। আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গত ৭ এপ্রিল জেলায় প্রথম কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের পর ৫৩ দিনে, অর্থাৎ গত ৩০ মে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। পরবর্তী ৫০০ ব্যক্তি আক্রান্ত হতে সময় লাগে চার ভাগের একভাগ, অর্থাৎ মাত্র ১৩ দিন। সর্বশেষ ৪০০ ব্যক্তি আক্রান্ত হতে সময় লাগল ১৫ দিন।

সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, গত ২৬ ও ২৭ জুন ওই দুই দিনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সন্দেহে মোট ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুই ধাপে হাতে পাওয়া এসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১১ জনকে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫ জন, মনোহরদী উপজেলা ও পলাশ উপজেলায় ২ জন করে এবং রায়পুরা ও বেলাব উপজেলায় একজন করে রয়েছেন। এ ছাড়া ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেল্যান্স এর আওতায় ২৮ জুন আইসিডিডিআরবিতে পাঠানো ১১টি নমুনার মধ্যে সদর উপজেলার ৩ জন ও রায়পুরা উপজেলার একজন করোনা পজিটিভ হন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল পর্যন্ত জেলার ৬টি উপজেলা থেকে মোট ৭ হাজার ২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা শেষে ৬ হাজার ৮৪৫ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৪১৩ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হন। জেলাজুড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৮৯৭ জন, শিবপুরে ১২৯ জন, পলাশে ১২২ জন, রায়পুরায় ১০৮ জন, বেলাবতে ৮১ জন ও মনোহরদীতে ৭৬ জন ব্যক্তি রয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমানে ১৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি কোভিড চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে এবং ৪৩৫ জন বাড়িতে বিচ্ছিন্ন থেকে চিকিৎসাধীন (হোম আইসোলেশন) আছেন। নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহ ও বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এ ছাড়া আক্রান্ত হিসেবে জেলার তালিকাভুক্ত ৩৫ জন ব্যক্তি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলার ২২ জন, বেলাব উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলায় ৪ জন করে, মনোহরদী উপজেলা ও পলাশ উপজেলায় ২ জন করে এবং শিবপুর উপজেলায় একজন রয়েছেন। অন্যদিকে, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও অন্তত ৪২ জন।