ভর্তির জন্য জমা রাখা ১০ হাজার টাকার সবই ত্রাণ তহবিলে জমা দিল ছাত্রটি

দিনমজুরের ছেলে আল আমীন উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য জমা রাখা ১০ হাজার টাকার পুরোটাই করোনা ত্রাণ তহবিলে দানের জন্য বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পালের কাছে জমা দেন। আজ বুধবার দুপুরে। ছবি: প্রথম আলো
দিনমজুরের ছেলে আল আমীন উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য জমা রাখা ১০ হাজার টাকার পুরোটাই করোনা ত্রাণ তহবিলে দানের জন্য বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পালের কাছে জমা দেন। আজ বুধবার দুপুরে। ছবি: প্রথম আলো

দিনমজুরের ছেলে আল আমীন। এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কলেজে ভর্তির জন্য শিক্ষাবৃত্তি ও টিউশনি করে ১০ হাজার টাকা জমা করেছিল। কিন্তু করোনার কারণে কবে ভর্তি হতে হবে, তা অনিশ্চিত। তাই জমানো সব টাকা সে করোনার কারণে অসহায় হয়ে পড়া মানুষের সহায়তার জন্য উপজেলা ত্রাণ তহবিলে দান করেছে।

আজ বুধবার দুপুরে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পালের হাতে আল আমীন এই টাকা তুলে দেয়। সে উপজেলার চকতকিনগর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।

আল আমীন জানায়, সে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চকগোয়াশ বেগুনিয়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৪ দশমিক ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাবা দিনমজুর। তাই বিভিন্ন শ্রেণিতে পাওয়া শিক্ষা উপবৃত্তির ও টিউশনি করে ১০ হাজার টাকা জমিয়েছিল। ওই টাকা দিয়ে ভালো কলেজে ভর্তি এবং পরের শ্রেণির পড়ালেখার খরচ চালাতে চেয়েছিল সে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে অসহায় ও দুস্থ মানুষের সহায়তার জন্য সে ওই টাকা দান করেছে। তার কথা, ‘এই টাকা দিয়ে তো কিছু মানুষ খেয়ে বাঁচবে’।

ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, বর্তমানে অনেক মানুষ কর্মহীন। এ জন্য সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে করোনা তহবিল খোলা হয়েছে। দিনমজুরের সন্তান হয়ে একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবৃত্তি ও টিউশনির জমানো ১০ হাজার টাকা এই তহবিলে দিয়েছে। এটি অসহায় মানুষের প্রতি মহানুভবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।