চালের বাজার অস্থিতিশীল করা হলে আমদানি: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ছবি
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ফাইল ছবি

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কোনো কারণ নেই। যদি কেউ অপচেষ্টার মাধ্যমে চালের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার। প্রয়োজনে সরকারিভাবে চাল আমদানি করা হবে।

আজ বুধবার ‘বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিষয়ে আলোচনা’ শীর্ষক এক ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভা সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমানারা খানুম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দেশের ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ৮ বিভাগের বিভাগীয় চালকল মালিক সমিতির দুজন করে প্রতিনিধি, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকেরা, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সভায় উপস্থিত চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখেন, সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী সরকারি গুদামে চাল সরবরাহ করেন; যদি তা না করেন, তবে সরকার চাল আমদানিতে যেতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকার আমদানিতে যেতে চায় না; গেলে মিলারদের লোকসান হবে এবং যেসব কৃষক ধান ধরে রেখেছেন, তাঁরাও লোকসানে পড়বেন। এই সময়ে যেসব মিল এগিয়ে আসবে, তাদের এ বি সি—এভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করার জন্য ইতিমধ্যেই খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেসব মিলকে পরবর্তী সময়ে সেভাবে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

মিলাদের উদ্দেশে সভায় মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৭ সালে হাওরে বন্যার সময় সরকারিভাবে চালের সংগ্রহ বাধাগ্রস্ত হলে সরকার চাল আমদানির ওপর শুল্ক উঠিয়ে দেয়। এর ফলে ৪০ লাখ মেট্রিক টন চাল বিভিন্নভাবে আমদানি করা হয়। সে কারণে সেই বছর মিলমালিক ও কৃষক উভয়েই চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।

সভায় উপস্থিত বরিশাল বিভাগ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, গত বোরো মৌসুমের শেষ দিকে কৃষক ধান বিক্রি করে মণপ্রতি ভালো লাভ করেছিলেন। এবারও বেশির ভাগ কৃষক যে যতটুকু পারেন সেই পরিমাণ ধান নিজেদের কাছে ধরে রেখেছেন। তাঁদের আশা, এবারও শেষ দিকে বেশি দামে ধান বিক্রি করতে পারবেন।