নারায়ণগঞ্জে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

নারায়ণগঞ্জে নতুন করে ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে । এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হয়েছে ৫ হাজার ১৬৯। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২ চিকিৎসকসহ ১১৪ জন। আজ বুধবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে জানান, জেলায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। এ পর্যন্ত জেলাজুড়ে আইসোলেশন থেকে মোট করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭৪ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিটি এলাকায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৬৯০ জনের, সেখান থেকে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮২৪ জন, মারা গেছেন ৬১ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২৪৫ জন। সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪ হাজার ৯২০ জনের, সেখান থেকে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২১২ জন, মারা গেছেন ২২ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৯২ জন।

আড়াইহাজার উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ জনের, সেখান থেকে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ১৮১ জন, মারা গেছেন ৩ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৭ জন। বন্দর উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৩০৬ জনের, সেখান থেকে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৪৮৩ জন, মারা গেছেন ৪ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৬৫ জন। সোনারগাঁ উপজেলায় এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৬ জনের, সেখান থেকে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৩ জন, মারা গেছেন ১৪ জন এবং করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩১৫ জন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হন, যাঁর দুজনই নারায়ণগঞ্জের। এ জেলায় ৩০ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক নারীর মৃত্যু হয়। গত ৭ এপ্রিল করোনা সংক্রমণের জন্য নারায়ণগঞ্জকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। গত ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করে সরকার।

এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই চিকিৎসক, একজন স্টাফ নার্স, জেলা প্রশাসনের এক কর্মচারীসহ ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামসহ ১৬ চিকিৎসক, ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৫ হাজার ১৬৯ জন। এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নকে গত ১২ জুন দিবাগত রাত থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।