মেয়ে করোনা পজিটিভ, বাবা চালাচ্ছিলেন দোকান, জরিমানা

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

শেরপুর শহরের গৃদানারায়ণপুর এলাকায় দুই দিন আগে একটি বিউটি পারলারের মালিক এক নারীর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর সদর উপজেলা প্রশাসন ওই পারলারসহ তাঁর বাসা ও বাবার মুদি দোকানটি লকডাউন করে। কিন্তু লকডাউন অমান্য করে পারলারমালিকের বাবা তাঁর মুদি দোকান খোলা রেখে বেচাকেনা করছিলেন। এ অভিযোগে বাবা নান্নু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আল মাসুদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে ওই পারলারমালিক নারীর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ওই নারীর বাসা, বাসাসংলগ্ন পারলার ও তাঁর বাবার মুদিদোকানটি লকডাউন করে। লকডাউনের বিষয়টি মাইকযোগে প্রচার করে স্থানীয় এলাকাবাসীকে অবহিত করা হয়।

কিন্তু করোনা আক্রান্ত ওই নারীর বাবা নান্নু মিয়া লকডাউন অমান্য করে তাঁর মুদিদোকানটি খোলা রেখে বেচাকেনা করছিলেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছিলেন দোকানে না জেনে আসা ক্রেতা ও এলাকাবাসী। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আল মাসুদ গৃদানারায়ণপুর এলাকার ওই মুদিদোকানে অভিযান চালান।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূল আইনে নান্নু মিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে আদালত ওই দোকানসংলগ্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করে ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে আড্ডা দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আল মাসুদ অর্থদণ্ড প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করে আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।