ফারাজ মঞ্জিল থেকে ঢাকার পথে লতিফুর রহমানের মরদেহ

লাশবাহী গাড়ির পাশে পরিবারের সদস্যরা। ছবি: এম সাদেক
লাশবাহী গাড়ির পাশে পরিবারের সদস্যরা। ছবি: এম সাদেক

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়ায় বাগানঘেরা গ্রামের বাড়ি বড় বেশি ভালোবাসতেন মিডিয়া স্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি লতিফুর রহমান। আজ বুধবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে তাঁর বেড়ে ওঠা গ্রামের বাড়ি থেকে বিশাল কর্মযজ্ঞের শহর ঢাকায় তিনি ফিরে যাচ্ছেন লাশবাহী গাড়িতে। সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চিওড়া গ্রামের ৩৪৯ নম্বর বাড়িতে ফারাজ মঞ্জিলে লতিফুর রহমান মারা যান।

সরেজমিনে বেলা ২টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ফারাজ মঞ্জিলে উপস্থিত থেকে দেখা গেছে, বাড়ির সামনে মানুষের জটলা। লতিফুর রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপ, এসকেএফ এবং মিডিয়া স্টার লিমিটেডের কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। বিকেল পাঁচটায় বাগানঘেরা বাড়ির পশ্চিম পাশে লতিফুর রহমানের মৃতদেহ গোসলের পর কাফনের কাপড় পরিয়ে তাঁকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে তোলেন লতিফুর রহমানের বড় মেয়ে সিমিন হোসেনসহ ছোট মেয়ে, ছেলে, নাতি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা।

এ সময় সিমিন হোসেনকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর ছোট বোনও। তখন সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন মুহূর্তের। পরে লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান ও পরিবারের সদস্যরা লাশবাহী গাড়ি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

ফারাজ মঞ্জিলের তত্ত্বাবধায়ক চিওড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহেদুর রহমান বলেন, ‘তিনি (লতিফুর রহমান) গত ২০ ফেব্রুয়ারি ফারাজ মঞ্জিলে আসেন। এক দশক আগে তিনি এ বাড়ি নির্মাণ করেন। এখানে থাকতেই পছন্দ করতেন। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি এই বাড়ি ছেড়ে চিকিৎসার জন্য কোথাও যাননি। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে এসে এ বাড়িতে অবস্থান করেন।’

সিমিন হোসেন বলেন, বাবার মরদেহ ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।