চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা চিকিৎসা চালু

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের নতুন ভবনে করোনা চিকিৎসা চালু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটিতে ৫০টি শয্যা রাখা হয়েছে। বুধবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নতুন হাসপাতাল ভবন ও করোনা চিকিৎসা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

করোনা ওয়ার্ডে শুধু বন্দরের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। বন্দরটির প্রায় ছয় হাজার কর্মকর্তা–কর্মচারীর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন শতাধিক। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন পাঁচজন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরের সাহসী পদক্ষেপের কারণে করোনার সময়ও বন্দরে পণ্য ওঠানো–নামানোর কার্যক্রম এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। করোনা অর্থনীতিতে যে ধাক্কা দিয়েছে তা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা চলছে।

সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে হাই ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহ সিস্টেম সমন্বিত ২৫ বেডের করোনা ওয়ার্ড এবং ২৫ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। পর্যায়ক্রমে আইসিইউ ওয়ার্ড চালু করার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই চিকিৎসা কার্যক্রমের জন্য সম্প্রতি বন্দর দ্রুত ১৩ জন চিকিৎসক ও ৩৬ জন নার্সসহ মোট ১৫৯ জন চিকিৎসক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দরের লোকজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তাঁরা। এক মুহূর্তও বন্ধ ছিল না বন্দর। তিনি বলেন, ‘আমাদের লোকজনকে আমরা সেবা দিতে পারলে নগরের হাসপাতালে ভিড় কমবে, নগরবাসী উপকৃত হবেন।’

এ সময় বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলমসহ বন্দর পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন হওয়া চারতলার নতুন হাসপাতালটিতে ১৫০টি শয্যা রয়েছে। এই শয্যাসংখ্যা বাড়িয়ে ২৫০টিতে উন্নীত করা যাবে।