বগুড়ায় কোভিড-১৯-এ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ আরও দুজনের মৃত্যু

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে বেসরকারি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির কর্মকর্তাসহ নতুন করে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং অন্যজন কোভিড ডেডিকেটেড মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃতের নাম মাসুদ আলম (৫৪)। গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গণকপাড়া গ্রামে। বসবাস করতেন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকায়। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, ওই রোগী গত ২২ জুন কোভিড ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন। ২৮ জুন তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে অবস্থার অবনতি ঘটলে আজ বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় জীবাণুমুক্ত করে তাঁর লাশ দাফনের জন্য নিজ গ্রামে পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে, দুপুরের দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেছেন কোভিড ‘পজিটিভ’ রোগী রওশন আরা (৬৫)। তিনি বগুড়া পৌরসভার মধ্য পালশা এলাকার মৃত আাজিমুদ্দিনের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্র জানায়,বেশ কয়েক দিন আগে কোভিডের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় রওশন আরা বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-সিপিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা দেন। ল্যাবরেটরি থেকে ৩০ জুন আসা প্রতিবেদনে তিনি কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হন। আজ অবস্থার অবনতি ঘটলে দুপুর ১২টার দিকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বগুড়ার সংগঠক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়ে মারা যাওয়া ওই নারীর লাশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের নির্দেশনা মোতাবেক জীবাণুমুক্ত করে মধ্য পালশা এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।