নাটোরে প্রথম ৫০ দিনে শূন্য, পরের ৬৫ দিনে শনাক্ত ১৮৯

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেশে প্রথম কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর প্রথম ৫০ দিন নিরাপদ ছিল নাটোর। ওই সময়ে জেলায় কোনো কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়নি। পরের ৬৫ দিনে ১৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ১৩ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রথম ৮ মার্চ কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হলেও পরবর্তী ৫০ দিন পর্যন্ত নাটোর জেলায় কেউ শনাক্ত হয়নি। ২৮ এপ্রিল জেলায় প্রথম একসঙ্গে আটজনের কোভিড–১৯ শনাক্ত হয়। পরের ৫০ দিনে (১৮ জুন পর্যন্ত) ১০১ জন এবং সর্বশেষ ১ জুলাই পর্যন্ত ১৮৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। অর্থাৎ শেষের ১৩ দিনে ৮৮ জন কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলায় ২০০ জন রোগী শনাক্ত হলেই নাটোর জেলা রেড জোনের আওতায় আসবে। সে হিসেবে নাটোর এখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনের দ্বার প্রান্তে।

নতুন শনাক্তদের মধ্যে নাটোর সদরে ৭ জন, সিংড়ায় ৫ জন ও নলডাঙ্গায় একজন আছেন। তাদের মধ্যে নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন আছেন। জেলায় তিনি নিজে সবচেয়ে বেশি নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তিনি নিজে সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া নাটোর শহর ট্রাফিকের দুজন ও নলডাঙ্গা থানার একজনসহ মোট তিনজন পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো স্বাস্থ্যবিধি না মানা। বারবার সতর্ক করার পরও এখানকার মানুষ মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হন। যারা মাস্ক ব্যবহার যারা করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এখন খুব জরুরি।