করোনায় সংক্রমিত সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খানের পাশে জাফরুল্লাহ

করোনায় সংক্রমিত সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনোকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় সংক্রমিত সিপিবি নেতা হায়দার আকবর খান রনোকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা হায়দার আকবর খান রনোকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি এই বাম রাজনীতিবিদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিপিবি নেতাকে দেখতে যান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আধাঘন্টা হায়দার আকবরের শয্যা পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যেকোনো আর্থিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি হায়দার আকবর খানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তাঁকে বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে জনগণের মুক্তির আন্দোলনে তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে।

হায়দার আকবর খান করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) ভর্তি আছেন।

জাহাঙ্গীর জানান, জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত চিকিৎসকদের কাছে হায়দার আকবরের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার সর্বশেষ খবর নেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে আরও গিয়েছিলেন গনস্বাস্থ্য হাসপাতালের চিকিৎসক নাজীব মোহাম্মদ, মতিন খান, শওকত আরমান এবং ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

জাফরুল্লাহ’র শারীরিক অবস্থার উন্নতি

তৃতীয়বারের মতো শারীরিক অবস্থার অবনতির পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা এখন ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফীর বরাতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এসব কথা জানায়।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বলেছে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে নিউমোনিয়ার জটিলতায় ভুগছেন। তাঁর ফুসফুসে তিন রকম জীবাণুর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে তাঁর সিটি স্ক্যান করা হয় এবং তাতে তাঁর ফুসফুসে মাল্টিপল লাং এবসেস শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা হয়েছে।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা তৃতীয়বার অবনতির পরে এখন ধীরে ধীরে উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।