বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা সংসদের প্রতি চরম অবমাননা: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

জাতির এই ক্রান্তিকালে বিএনপি দায়িত্বশীল আচরণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, বিএনপির সাংসদেরা বাজেট প্রত্যাখ্যান করার নামে সংসদ ভবনের সামনে মহান সংসদের অনুমোদিত বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন। এটি মহান সংসদের প্রতি চরম অবমাননা। এটি তাঁদের শপথভঙ্গেরও শামিল।

বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আজ বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপির সাংসদদের আচরণের নিন্দা জানিয়ে কাদের বলেন, তাঁরা চেয়েছিলেন, সংসদ যাতে কোনো বাজেট পাস না করে। বাজেট ছাড়া একটি রাষ্ট্র তাঁরা দেখতে চেয়েছিলেন। তাঁরা দেশে একটি হতাশাজনক অবস্থা দেখতে চেয়েছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা মানুষের মধ্যে আশার আলোর সঞ্চার করতে পেরেছি, যা এই মহামারি পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, বাঙালি জাতি হিসেবে এ পর্যন্ত যা কিছু পেয়েছে, তার সবকিছুই দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ; দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং দূরদর্শী ও বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, কোনো কোনো দেশ বাজেট দিতে ব্যর্থ হয়ে বিশেষ আইনের সহায়তায় বাজেট প্রণয়ন স্থগিত করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ এই সময়ে যেসব দেশ বাজেট প্রণয়ন করেছে, তাদের অধিকাংশই করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে সংকোচন করেছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রভাবে স্বাস্থ্য খাতে যে সাময়িক প্রয়োজন সৃষ্টি হয়েছে, তা মেটানো এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষতি সৃষ্টি হবে, তা পুনরুদ্ধারের কৌশল বিবেচনায় নিয়ে এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম এবং বর্তমান মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি এবং করহার কিছুটা কমানো হয়েছে। এ ছাড়া করপোরেট করের হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এর ফলে নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য আসবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে।

করোনা মোকবিলায় সরকারের ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ০১ শতাংশ। বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ভারতে ৩ দশমিক ০৮, পাকিস্তানে ২ দশমিক ০৩, যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক ০৩ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৫ দশমিক ০ শতাংশ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় মৃত্যুহার নিম্ন পর্যায়ে রাখা গেছে। তবে প্রকৃত মৃত্যুর হার এর চেয়ে আরও কম। নমুনা পরীক্ষা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুস্থতার হার বেড়ে যাবে এবং মৃত্যুর হারও কমতে থাকবে।’