লক্ষ্মীপুরে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

লক্ষ্মীপুরে নতুন করে ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা হয়েছে ৯১৪।

এখনো ৩৪৮ জনের নমুনার প্রতিবেদন লক্ষ্মীপুরে এসে পৌঁছায়নি। সেগুলো এলে সংক্রমিতের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত জেলা থেকে ৬ হাজার ৩৯৪টি নমুনা সংগ্রহ হয়। এর মধ্যে ফলাফল এসেছে ৬ হাজার ৪৬টির।

এদিকে গত ১৬ জুন জেলার লক্ষ্মীপুরের ৩টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ১৫ দিন লকডাউন করা হলেও কোনো সুফল মেলেনি। এ ১৫ দিনে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৪৫ (দ্বিগুণের বেশি)। গত ১৫ জুন পর্যন্ত জেলায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪২৯ জন। আর লকডাউন শেষে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭৪ জনে। অর্থাৎ ওই ১৫ দিনে প্রতিদিন গড়ে ২৯ জনের বেশি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, আজ ৭৩টি নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৮ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলার পাঁচটি উপজেলায় গত তিন মাসে করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১৪। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৪৮২ জন, রায়পুরে ৮৪ জন, রামগঞ্জে ১৪৮ জন, কমলনগরে ১৩৬ জন ও রামগতিতে ৬৪ জন রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত উপসর্গে মৃত ১৬ জনের মরণোত্তর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া মৃত্যুর আগেই করোনা ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন আরও দুজন। অর্থাৎ এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৮ জন।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মো. আবদুল গাফ্ফার বলেন, ‘রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ১৫ দিনের লকডাউন গত মঙ্গলবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। নতুন করে আর লকডাউন বাড়ানো হচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন কার্যকর করা হলেও খুব একটা সুফল আসেনি। এলাকার মানুষ বাজারমুখী। তাঁরা সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’