খুলনা বিভাগে নতুন করে ২৬৮ জনের করোনা শনাক্ত

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

খুলনা বিভাগে নতুন করে ২৬৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে করোনায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪ হাজার ৭৭৫। এ ছাড়া বিভাগে করোনায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও ৫ জনের। এ নিয়ে বিভাগে সংক্রমিত হয়ে মোট ৮২ জন মারা গেলেন।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগে নতুন করে ১৪৭ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৯১। বিভাগে এখন পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার হার ২৯ শতাংশ।

বিভাগে নতুন সংক্রমিত ২৬৮ জনের মধ্যে খুলনা জেলায় রয়েছেন ১১৩ জন, বাগেরহাটে ১, যশোরে ৫৯, ঝিনাইদহে ২৭, মাগুরায় ৪, নড়াইলে ২৩, কুষ্টিয়ায় ৩০, চুয়াডাঙ্গায় ৭ ও মেহেরপুরে ৪ জন রয়েছেন। এই সময় সাতক্ষীরায় কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

সব মিলিয়ে বিভাগের মধ্যে খুলনায় এখন পর্যন্ত করোনায় মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ১২৩ জন, যা বিভাগের মোট রোগীর প্রায় ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১৯৫ জন, সাতক্ষীরায় ১৮৪, যশোরে ৭০৭, ঝিনাইদহে ২৩৬, মাগুরায় ১৪৮, নড়াইলে ২২১, কুষ্টিয়ায় ৬৫২, চুয়াডাঙ্গায় ২২৯ ও মেহেরপুরে ৮০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।

অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাবমতে, সংক্রমণ ও মৃত্যু—বিভাগে দুই সূচকেই এগিয়ে খুলনা। বিভাগে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ২৭ জন, যশোরে ১২, কুষ্টিয়ায় ১১, নড়াইলে ৭ জন ও ঝিনাইদহে ৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়া মেহেরপুরে ৫ জন, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট ৪ জন করে। মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় ৩ জন করে করোনা রোগী মারা গেছেন।

বিভাগের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন খুলনায় ৩৬২ জন, বাগেরহাটে ১০০, সাতক্ষীরায় ৬৩, যশোরে ২০০, ঝিনাইদহে ৯৪, মাগুরায় ৪৯, নড়াইলে ৬৬, কুষ্টিয়ায় ২৮৩, চুয়াডাঙ্গায় ১৪১ ও মেহেরপুরে ৩৩ জন।

গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় একজনের করোনা শনাক্ত হওয়ার মাধ্যমে খুলনা বিভাগে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন। পরবর্তী ৭৩ দিনে (মে পর্যন্ত) এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০০। পরের ১১ দিনেই আরও ৫০০ ব্যক্তি পজিটিভ শনাক্ত হলে ১১ জুন, অর্থাৎ ৮৫তম দিনে এখানে সংক্রমণের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এর পরের ৫ দিনে (১৬ জুন, অর্থাৎ ৯০তম দিনে) নতুন করে আরও ৫০০ জন পজিটিভ শনাক্ত হলে রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়ায়।

আরও ৫০০ রোগী যোগ হয় এরপর মাত্র চার দিনে। আর এ নিয়ে রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়ায় ২০ জুন, ৯৪তম দিনে। এরপরের ৫০০ যোগ হয় মাত্র দুই দিনে। এ নিয়ে রোগীর সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়ায় ২২ জুন, ৯৬তম দিনে। তিন হাজার ছাড়ায় ২৫ জুন, ৯৯তম দিনে। ২৭ জুন ১০১তম দিনে রোগীর সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়ায়। আবার মাত্র দুই দিনে ৫০০ শনাক্ত যোগ হয়ে ২৯ জুন ১০৩তম দিনে রোগীর সংখ্যা চার হাজার ছাড়ায়। এর দুই দিন পর ১ জুলাই ১০৫তম দিনে রোগীর সংখ্যা সাড়ে চার হাজার ছাড়ায়।