ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'রেড জোনে' খাবার পৌঁছে দিল উপজেলা প্রশাসন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা তিনটি ওয়ার্ডের চারটি মহল্লার ৪০টি অসহায় পরিবারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিল উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি সদর উপজেলার আরও ১৫টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার রেড জোন (লাল তালিকাভুক্ত) ৪, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহল্লাগুলো হলে যথাক্রমে পূর্ব পাইকপাড়া, কালাইশ্রীপাড়া, মধ্যপাড়া ও কাজীপাড়া। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করায় এসব এলাকায় ঢোকা ও বের হওয়া নিষেধ করে উপজেলা প্রশাসন। লকডাউনের কারণে এসব এলাকার অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে অসহায় পরিবারের সদস্যরা খাদ্যসহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। তাঁদের আবেদন যাচাই-বাছাই করে ৪০টি পরিবারকে নির্বাচন করে উপজেলা প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ুয়া রেড জোন ঘোষিত তিনটি ওয়ার্ডের চারটি মহল্লার ৪০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বি এম মশিউজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৩ জন করোনা সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৩৬৮ জন। তাঁদের মধ্যে পৌর এলাকার ৪, ৫ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডেই রয়েছেন অর্ধশতাধিক রোগী। এ ভাইরাস আরও ছড়িয়ে পড়া রোধে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাইকপাড়া ও কালাইশ্রী পাড়া, ৫ নম্বরের মধ্যপাড়া এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়া মহল্লাকে রেড জোন ঘোষণা করে প্রশাসন।

১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এসব এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়। এ কারণে এসব এলাকায় চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। জরুরি ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট ও গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় অনেক পরিবার কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে প্রশাসন।

ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, রেড জোন হওয়ায় বাইরে বের হওয়া নিষেধ। এ কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। এসব পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট। অনেক পরিবার সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিল। আজ বৃহস্পতিবার এমন ৪০টি পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগেও দুই দফায় ৭০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।