সর্বোচ্চ শনাক্তে খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ছাড়াল করোনা রোগী

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩১৪ জন শনাক্তের মধ্য দিয়ে এখন বিভাগে মোট সংখ্যাটা ৫ হাজার ৮৯ জন। বিভাগে একদিনে এটাই সর্বোচ্চসংখ্যক শনাক্তের ঘটনা।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মো. মনজুরুল মুরশিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, বিভাগে নতুন করে ১৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ হলেন ১ হাজার ৫৫৬ জন। শনাক্ত বিবেচনায় বিভাগে সুস্থ হওয়ার হার ৩১ শতাংশ।

খুলনা বিভাগের মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ। পরবর্তী ৭৩ দিনে শনাক্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়। ৮৫তম দিনে সংখ্যাটা হাজারে পৌঁছায়। এরপর ৯৪তম দিনে দুই হাজার, ৯৯তম দিনে তিন হাজার এবং ১০৩তম দিনে রোগী সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়ায়। সেটা ছিল ২৯ জুনের ঘটনা। এরপর ৩ জুলাই ১০৭তম দিনে এসে বিভাগে রোগীর সংখ্যা ৫ হাজার অতিক্রম করল।

খুলনা বিভাগে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে আজ শুক্রবার সকাল আটটার মধ্যে শনাক্ত ৩১৪ জন করোনা রোগীর মধ্যে খুলনা জেলায় ১৫৬ জন, সাতক্ষীরায় ১৪ জন, যশোরে ৩৮, নড়াইলে ৩১, ঝিনাইদহে ১৩, কুষ্টিয়ায় ২৬, মাগুরায় ২১, চুয়াডাঙ্গায় ৮ ও মেহেরপুরে ৭ জন রয়েছেন। এই সময়ে বাগেরহাটে একজনও করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হননি।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় ২ হাজার ২৭৯ জন, বাগেরহাটে ১৯৫ জন, সাতক্ষীরায় ১৯৮ জন, যশোরে ৭৪৫ জন, ঝিনাইদহে ২৪৯ জন, মাগুরায় ১৬৯ জন, নড়াইলে ২৫২ জন, কুষ্টিয়ায় ৬৭৮ জন, চুয়াডাঙ্গায় ২৩৭ জন ও মেহেরপুরে ৮৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

বিভাগে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায় ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের নাম যুক্ত হয়েছে। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি ২৯ জন। এ ছাড়া যশোর ও কুষ্টিয়ায় ১২ করে, নড়াইলে সাতজন, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে পাঁচজন করে, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে চারজন করে, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় তিনজন করে মারা গেছেন।

বিভাগে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনায় ৪৩৯ জন, বাগেরহাটে ১০০ জন, সাতক্ষীরায় ৬৩ জন, যশোরে ২৪১ জন, ঝিনাইদহে ৯৪ জন, মাগুরায় ৪৯ জন, নড়াইলে ৮৭ জন, কুষ্টিয়ায় ৩০৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৪৬ জন ও মেহেরপুরে ৩৩ জন রয়েছেন।