নারীদের ভিডিও বিকৃত ক্যাপশন দিয়ে ফেসবুকে ছড়াতেন

আটকের পর মুক্তাদির। ছবি: সংগৃহীত
আটকের পর মুক্তাদির। ছবি: সংগৃহীত

পেশায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু চাকরির ফাঁকে ছুটতেন স্কুল ও শপিং মলের সামনে। সেখানে গিয়ে গোপনে ধারণ করতেন নারী অভিভাবক, ছাত্রী ও অন্য তরুণীদের ভিডিও। এরপর বিকৃত ক্যাপশন দিয়ে ছেড়ে দিতেন ফেসবুকের একটি নির্দিষ্ট পেজে। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ফেসবুকে সমালোচনা হচ্ছিল। ওই পেজের অ্যাডমিনকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠছিল। অবশেষে মুক্তাদির নামের ওই যুবককে ধরতে পেরেছে পুলিশ। তিনিই ওই পেজটি চালাতেন।

আজ শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে নগরের একটি জায়গা থেকে এই তরুণকে আটক করা হয়। পরে তাঁর মুঠোফোন ও ল্যাপটপে খোঁজ করে মিলেছে প্রায় ৩০০টি ভিডিও। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এসব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে।
পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২৫ বছর বয়সের ওই যুবকের বাড়ি গাইবান্ধায়। বছরের শুরুতে তিনি চট্টগ্রামে এসে জিইসি মোড় এলাকার একটি হোটেলে চাকরি নেন। পরবর্তী সময়ে সেই চাকরি ছেড়ে সীতাকুণ্ডে চলমান একটি প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। চট্টগ্রামে আসার পর বিভিন্ন বালিকা বিদ্যালয় ও শপিং মলের সামনে গিয়ে নারী ও ছাত্রীদের চলাফেরার দৃশ্য বাজেভাবে ধারণ করতে থাকেন। ভিডিও ধারণের সময় কখনো কখনো নারীদের উদ্দেশে বাজে মন্তব্যও করতেন। এরপর প্রতিদিন বিকৃত ক্যাপশন দিয়ে এসব ভিডিও ওই পেজে শেয়ার করতেন। ওই পেজে প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার সদস্য রয়েছে। সদস্যদের অনেকেই সেসব ভিডিও ছড়িয়ে দিতেন। আবার কেউ কেউ এসব ভিডিওর জন্য সমালোচনা করতেন।
ওই যুবককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা জায়গা থেকে অভিযোগ আসার পর এই পেজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য নগর পুলিশের কমিশনার মাহাবুবর রহমান মহোদয় নির্দেশ দেন। এরপর আমরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই পেজের অ্যাডমিন মুক্তাদিরকে গ্রেপ্তার করি। পরে তাঁর মুঠোফোন ও ল্যাপটপ তল্লাশি করে নারীদের প্রায় ৩০০টি ভিডিও পাই।’
তদন্তের স্বার্থে মুক্তাদিরকে কোন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে, তা বলতে চাননি আসিফ মহিউদ্দিন। তবে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই যুবক সব স্বীকার করেছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে অন্য আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা দেখা হচ্ছে।