জামালপুরে আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দী

জামালপুরে গত মঙ্গলবার থেকে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। গোটা জেলায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দী। গত এক সপ্তাহের বন্যায় পানিবন্দী মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আছে গবাদিপশুর খাদ্যের সংকটও।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপের নিয়ন্ত্রক আবদুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার পানি কমে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যাদুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেকেই এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দী অবস্থায় আছেন। ঘরে খাবার না থাকায় অনাহারে দিন কাটছে। অপেক্ষা করছেন ত্রাণসামগ্রীর। বন্যাকবলিত এলাকায় নৌকা দেখলেই বানভাসি মানুষ ছুটে যাচ্ছেন ত্রাণের আশায়। অনেকে ভোর থেকে ত্রাণের জন্য উঁচু স্থান বা চেয়ারম্যান বাড়িতে ধরনা দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, সদর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৭২ জন মানুষ পানিবন্দী। বন্যায় ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২৫টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ৫ লাখ টাকা ও ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ চলছে।

জামালপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, সারা জেলায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ, বাদাম, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পুরোপুরি পানি নেমে যাওয়ার পর ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।