ভৈরবে কোভিড-১৯ রোগীদের ৮০ শতাংশ সুস্থ

কোভিড-১৯
কোভিড-১৯

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কোভিড–১৯ রোগীদের সুস্থ হওয়ার হার বেশ ভালো। সর্বশেষ হিসাব মতে, ৫২০ রোগীর মধ্যে ৪২০ জন সুস্থ হয়েছেন। শতাংশের হিসাবে এটি ৮০ দশমিক ৭৬।

আজ শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এই তথ্য দেন। তিনি করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, শুরু থেকেই কিশোরগঞ্জকে হটস্পষ্ট জেলা ঘোষণা করা হয়। ১৩ উপজেলা নিয়ে এই জেলা। জেলার মধ্যে ভৈরব বাণিজ্য অঞ্চল। একই সঙ্গে নদী বন্দর। রেল ও সড়ক পথেও রয়েছে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে অনেক চেষ্টা করে ভৈরবকে অবরুদ্ধ রাখা যায়নি। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করাতে না পারায় সামাজিক সংক্রমণ না কমে দিন দিন বেড়েছে। এই উপজেলায় প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল। ভৈরব থানার এক কর্মকর্তা প্রথম আক্রান্ত হন। এই সময়ের মধ্যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে দুই হাজার ৬৪২ জনের। দুই হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা গেছে। এর মধ্যে সংক্রমিত ৫২০ জন। তাদের ৮০ শতাংশ নিজেদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা আইসোলেশন ইউনিট এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ঢাকার কয়েকটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। মারা গেছেন ১০ জন।

আতিক আহমেদ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি কোভিড–১৯ রোগী ছিলেন। বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'বিশেষ শারীরিক জটিলতা না থাকলে কিংবা দেখা না দিলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোই ভালো বলে মনে হয়েছে। এ সময় পরিবারের মানুষের সমর্থন সবচেয়ে বেশি জরুরি।'


স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সংক্রমণের দিক থেকে সাভার দেশের মধ্যে এগিয়ে। এরপরই ভৈরবের অবস্থান। ভৈরব যেমন সংক্রমণের দিক থেকে এগিয়ে, সুস্থতার হারও এখানে বেশ ভালো। স্বস্তির বিষয় হলো, এখানকার কোভিড–১৯ রোগীরা খুব বেশি জটিলতায় ভুগছেন না। ফলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিতে সমস্যা হচ্ছে না। নির্দিষ্ট সময়ের পর ফল নেগেটিভ আসছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক সংক্রমণের মাত্রা কমিয়ে আনা গেলে খুব দ্রুত সুস্থতার হার আরও ভালো হবে বলে তাঁর ধারণা।