কুমিল্লায় জুনেই কোভিডে আক্রান্ত ৬৭ শতাংশ

প্রতীকী ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি: রয়টার্স

কুমিল্লা জেলায় জুন মাসে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫২৯ জনের শরীরে। একই মাসে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩০২ জন এবং মারা গেছেন ৭২ জন। জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৬৬ দশমিক ৯৪ শতাংশই জুন মাসে। ওই মাসে আক্রান্ত, সুস্থতা এবং মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ কুমিল্লা জেলায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আসন্ন ঈদুল আজহা ঘিরে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে গত ৯ এপ্রিল ঢাকাফেরত ৭ ও ৫ বছরের দুই ছেলেশিশুর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জফেরত দেবীদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী এক সনাতন ধর্মাবলম্বী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যান। এরপর এপ্রিল মাসে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় ৭৭ জনের শরীরে। ওই মাসে সুস্থ হয়েছেন সাতজন, মারা গেছেন দুজন। এক মাসের ব্যবধানে ৩১ মে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭১। এ সময় সুস্থ হয়েছেন ১৩৮ জন, মারা গেছেন ২৮ জন।
গত ৩০ জুন পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হলো মোট ৩ হাজার ৫০০ জনের। মারা গেছেন ১০০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৪০ জন। এক মাসে অর্থাৎ জুন মাসে ২ হাজার ৫২৯ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হলো। জুন মাসে মারা গেছেন ৭২ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩০২ জন। অপরদিকে ৫৫ দিনে কুমিল্লা জেলায় শনাক্ত ১ হাজার ২৪৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ৩১১ জন ও মারা গেছেন ৩১ জন।
কুমিল্লা জেলায় গত ৩ জুলাই পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৮ জনের শরীরে। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৩ জন। মারা গেছেন ১০৩ জন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯ হাজার ৫০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮৭৭ জনের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জুন মাসের চিত্র ভয়াবহ। আমাদের পুরোপুরি ঘরে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ঈদুল আজহা ঘিরে এই সংখ্যা বাড়তে পারে। জনগণের সচেতনতাই পারে পুরো দেশ ও নিজেকে রক্ষা করতে। আংশিক লকডাউন দিয়ে সফলতা খুব মেলে না। সফলতা পেতে হলে পরীক্ষা করে শনাক্ত ও অশনাক্তদের বাছাই করতে হবে।’

জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।