নওগাঁয় আরও ১৮ জনের কোভিড শনাক্ত

নওগাঁয় নতুন করে ১৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালের একজন নার্স এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এক অফিস সহকারীও রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬০। আজ শনিবার সিভিল সার্জন আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া নওগাঁর ১৯৭টি নমুনার ফলাফল ই-মেইলে আসে। এর মধ্যে ১৮ জনের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ১ জন অফিস সহকারী এবং নওগাঁ সদর হাসপাতালের ১ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সদর উপজেলার ৭ জন, মহাদেবপুরের ৭ জন, সাপাহারের ৩ জন ও মান্দার ১ জন রয়েছেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ২৩ এপ্রিল। এরপর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছুঁতে সময় লাগে ৩৯ দিন। কিন্তু পরের ১৩ দিনেই রোগীর সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। ২৫ জুন পর্যন্ত নওগাঁয় কোভিডে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪০। এরপর আজ পর্যন্ত সাত দিনে (২৬ জুন-৪ জুলাই) আরও ৩২০ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। অর্থাৎ জেলায় মোট আক্রান্তের ৫৭ দশমিক ১৪ শতাংশই শনাক্ত হয়েছে শেষ সপ্তাহে।

নওগাঁয় এ পর্যন্ত মোট ৫৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ নতুন করে ৩৮ জনসহ মোট ৩৪৩ জনকে এ পর্যন্ত সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। শনাক্তের হিসাবে সুস্থতার হার ৬১ শতাংশ। নওগাঁয় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৭ জন মারা গেছেন।

এদিকে নওগাঁয় নমুনার ফল পাওয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে নমুনার ফল পেতে গড়ে সাত–আট দিন সময় লাগছে। এ বিষয়ে নওগাঁর সিভিল সার্জন ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব আকন্দ মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ১, ২, ৩ ও ৪ জুলাইয়ে সংগ্রহ করা ৭০০টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আটকে আছে। নওগাঁয় কোনো পিসিআর ল্যাব না থাকায় ঢাকা, রাজশাহী ও বগুড়ার ল্যাবে নওগাঁর নমুনাগুলো পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পরীক্ষা করার সক্ষমতার চেয়ে বেশি নমুনা সংগ্রহ হওয়ায় পরীক্ষার ফল পেতে দেরি হচ্ছে।