মুগদা হাসপাতাল থেকে এক আনসার সদস্য প্রত্যাহার

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত মাকে নিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে আসেন ছেলে শাওন। পরীক্ষা তো করাতে পারেননি, উল্টো আনসার সদস্যদের মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত মাকে নিয়ে করোনা পরীক্ষা করাতে আসেন ছেলে শাওন। পরীক্ষা তো করাতে পারেননি, উল্টো আনসার সদস্যদের মারধরের শিকার হয়েছেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত

মুগদা জেনারেল হাসপাতালে মায়ের করোনা পরীক্ষা করাতে আসা এক যুবককে মারধর ও দুই ফটো সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা ঘটনায় এক আনসার সদস্যকে ওই হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পের সহকারী কমান্ডারসহ আরও তিনজনকে আজ শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সংস্থাটির সদর দপ্তরে ডাকা হয়েছিল।

প্রত্যাহার হওয়া আনসার সদস্য হলেন আফসারুল আমিন। তিনি ফটো সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ধরাণকৃত ছবি থেকে দেখা যায় অন্তত দুজন আনসার সদস্য মায়ের করোনা পরীক্ষা করতে আসা যুবককে মারধর করেছিলেন।

ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজধানীর মুগদার দক্ষিণ মান্ডা এলাকার বাসিন্দা শাওন হোসেন। ভোর পাঁচটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও পরীক্ষা করানোর অনুমতি পাননি। এ নিয়ে কর্তব্যরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা তাঁর কলার ধরে হাসপাতালের ক্যাম্পে নিয়ে যান। এই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে আনসার সদস্যরা লাঞ্ছিত করেন ‘দেশ রূপান্তর’-এর ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদ এবং ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর জয়ীতা রায়কে।

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আনসার সদস্য আফসারুল আমিন, বিশ্বজিৎ কুমার, খুরশেদ আলম এবং তাঁকে আজ সদর দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আফসারুল আমিনকে প্রত্যাহার করা হয়।

ও ঘটনায় শুক্রবার মুগদা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদ। মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।