চিকিৎসক-নার্স-কর্মচারীদের কোয়ার্টারে পানি নেই

রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের কোয়ার্টারে দুই দিন ধরে পানি নেই। ফলে এখানে বসবাসরত কয়েক শ পরিবারকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত শনিবার আবাসিক এলাকার একমাত্র পানির পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সূত্র জানায়, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল–সংলগ্ন দোতলা থেকে ছয়তলা পর্যন্ত কয়েকটি কোয়ার্টার রয়েছে। চিকিৎসক, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা এসব ভবনে থাকেন। পাশেই রয়েছে নার্সেস হোস্টেল। দুই দিন ধরে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোয়ার্টারে পানি সরবরাহ নেই।

নার্সেস হোস্টেলের বাসিন্দা বক্ষব্যাধি হাসপাতালের স্টাফ নার্স সাবিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তারা ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ডিউটি শেষে তাঁরা হোস্টেলে ফিরে পানির অভাবে গোসল তো দূরের কথা, সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতেও পারছেন না। বাইরে থেকে পানি কিনে এনে রান্না ও শৌচাগারের কাজ চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাঁদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।

ওই হোস্টেলের আরেকজন সিনিয়র নার্স বলেন, এখন নাহয় পাম্প নষ্ট হয়েছে। পাম্প সচল থাকলেও তাঁরা খুবই সামান্য পানি পান। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা তাঁদের কোয়ার্টারের পাশে ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন। বাড়তি চাহিদা মিটিয়ে নার্সেস হোস্টেলে কম পানি আসে। তা ছাড়া হোস্টেলের ছাদের পানির ট্যাংকও খুব ছোট। যে কারণে সারা বছরই হোস্টেলের অর্ধশতাধিক নার্স পানির সংকটে ভুগছেন। তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি।

বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রধান সহকারী রুখসানা আক্তার বলেন, তিনিও হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকেন। গতকাল শনিবার আবাসিক এলাকার পাম্পটি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিবার নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে বক্ষব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুর রহমান আজ প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার পানির পাম্পের মোটর বিকল হয়ে গেছে। হাসপাতালে গণপূর্ত বিভাগ নতুন মোটর স্থাপনের কাজ করছে। মোটর স্থাপন করা গেলে পানি সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে নার্সরা পানির সংকটের কথা তাঁকে জানাননি বলে দাবি করেন তিনি।