সীমান্ত হত্যায় সরকার টুঁ শব্দ করে না: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সরকার চুপ করে থাকে। কোনো টুঁ শব্দ করে না। রিজভী বলেছেন, গত তিন মাসে বিএসএফের হাতে ২৫ জন বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘গত তিন মাসে বিএসএফ ২৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করেছে। গত ২ জুলাইও তারা একজনকে হত্যা করছে। গতকালও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন জাহাঙ্গীর আলমকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ভয়ংকর অমানবিক মনুষ্যত্বহীন ঘটনা দেশবাসীকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করে না। এই বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী চুপ কেন? সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই।’

রিজভীর অভিযোগ, সরকার নতজানু বলে কোনো প্রতিবাদ করে না। বিএনপি এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।

জনগণের পাশে না থেকে ঘরে বসে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করছেন বিএনপি নেতারা—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, সরকারদলীয় মন্ত্রী–সাংসদ কে মাঠে আছেন এবং জনগণের পাশে আছেন?

রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীনদের সাংসদ মানব পাচারের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে গ্রেপ্তার হচ্ছেন, জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ চুরি করছেন। সরকারের মন্ত্রীরা ঘরে বসে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে দেশ চালাচ্ছেন বলে জানান রিজভী। এ ছাড়া বলেন, বিএনপি সব পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা এই দুঃসময়ে বিভিন্ন সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের অবস্থা–দুর্দশা বোঝার ক্ষমতা এ সরকারের নেই। যদি থাকত, তাহলে করোনা পরীক্ষার ওপর ২০০ টাকা ফি ধার্য করত না। এই মহামারির মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াত না। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের পরিস্থিতি সৃষ্টি করত না এবং পাটকল বন্ধ ও পাটশ্রমিকদের ছাঁটাই করত না।