এক প্রকৌশলীর জামিন হয়নি, ঠিকাদারের আবেদন তালিকা থেকে বাদ

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভবনের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনাসংক্রান্ত দুর্নীতির এক মামলায় মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ হোসেনের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাঁর আইনজীবীর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভবনের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনাসংক্রান্ত দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে আজ জামিন পাননি। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ শফিকুলের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) রেখেছেন।

আদালতে আসিফের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর শফিকুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ।

পরে খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ভবনের আসবাব ও অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে চারটি মামলা হয়। দুই মামলায় আসিফ হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এক মামলায় গত ২৯ জুন হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেন। এই আদেশ ১ জুলাই চেম্বার কোর্টে স্থগিত হয়। এক মামলায় জামিন স্থগিত হয়েছে জানিয়ে আসিফের আইনজীবী আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আরজি জানালে আদালত ওই আদেশ দেন। চার মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী শফিকুল জামিন চান। রোববার হাইকোর্ট জামিন না দিয়ে আবেদন তিনটি নিয়মিত কোর্টে উপস্থাপন করতে বলেছেন।

দুদক আইনজীবীর তথ্যমতে, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের আবাসিক ভবনের আসবাব, বালিশসহ অন্যান্য সামগ্রী অস্বাভাবিক দামে কেনা দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা চারটি করে দুদক, যা বালিশ-কাণ্ড নামে পরিচিতি পায়। মামলার পর থেকে ওই দুজন কারাগারে আছেন।