শরীয়তপুরে করোনাজয়ীদের ৯০ শতাংশ বাড়িতে সুস্থ

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার সংখ্যাও। গত তিন দিনে জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত আরও ৭০ জন সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৮২ জন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়েছেন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল রোববার শরীয়তপুরে ৭০ জনকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯৮ জন। মারা গেছেন ছয়জন।

শরীয়তপুরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশেরই কোনো উপসর্গ নেই। আর কিছুসংখ্যকের মৃদু উপসর্গ রয়েছে। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২০ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ৪০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর ৯০ শতাংশ বাড়িতে বসেই স্বাস্থ্য পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।

শরীয়তপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুর রহমান রাজ্জাক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁকে সুস্থ ঘোষণা করে। আজ সোমবার তিনি পৌরসভার বাজেট অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সাইফুর রহমান রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৫-১৬ দিন আগে হালকা জ্বর ও গলাব্যথা অনুভব করি। এরপরই নমুনা দিই। দুই দিন পর জানতে পারি করোনাভাইরাস পজিটিভ। এরপর বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। এক দিন শ্বাসকষ্ট অনুভব করলেও হাসপাতালে যাইনি। বাড়িতে থেকেই স্বাস্থ্য পরামর্শ নিয়েছি।’

সাইফুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন সুস্থ হয়ে ভালো লাগছে। স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চললে করোনাভাইরাস জয় করা খুব সহজ।’

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন এস এম আবদুল্লাহ আল মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের অনেকের কোনো উপসর্গ নেই। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগ বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।

আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, যাঁরা বাড়িতে থেকে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছেন, স্বাস্থ্য বিভাগ তাঁদের পাশে আছে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়ার সব কার্যক্রম স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে নেওয়া হয়েছে।