মানুষ দেখছে, বিএনপি মাঠে নয় শুধু টিভিতেই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সারা দেশের মানুষ দেখছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে মাঠে না গিয়ে আইসোলেশনে থেকে টিভিতেই বক্তব্য দেয় বিএনপি।’

আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মন্তব্য, ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই মাঠে আছে, ত্রাণ দিচ্ছে’ এর জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপির নেতা রিজভীর সাম্প্রতিক নানা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ‘আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে চাই না এবং তা উচিতও নয়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের চোখ-কান আছে, তারা দেখতে পাচ্ছে কারা মাঠে আছে, কারা ত্রাণ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখের বেশি পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার আওতায় এসেছে। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।’

নাম উল্লেখ না করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতৃবৃন্দ ঘরে বসে বসে ভিডিও কনফারেন্স করে দুনিয়ার কথা বলেন, সেটা টেলিভিশনেই দেখা যায়। অপরদিকে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছে বিধায় অনেক এমপিসহ বহু নেতা-কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক নেতা ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা সবাই মাঠে ছিলেন। সুতরাং আমরা যে কথাগুলো বলেছি সেটি যে সত্য, তা দেশের মানুষ বুঝতে পারে। আর মিথ্যা বলাই যাদের রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য, তারা ক্রমাগত মিথ্যাই বলবে, এটিই স্বাভাবিক।’

এ সময় এখনো চিকিৎসার জন্য মানুষকে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরতে হচ্ছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। সেখান থেকে রোগী ফেরত দেওয়া কোনোভাবেই সমীচীন নয়। চিকিৎসা দিতে না পারলে তারা রোগীকে পরামর্শ দিতে পারে, অন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেওয়াকে এ পরিস্থিতিতে আমি মনে করি এটি অপরাধ এবং এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়াতে দৌড়াতে রোগীর মৃত্যুর দায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলো কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’

করোনা পরিস্থিতিতে বগুড়া ও যশোরের দুটি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন, তারা স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এর ভালো ব্যাখ্যা তারাই দিতে পারবে। যদিও ঢাকা আর বগুড়া কিংবা যশোরের পরিস্থিতি এক নয়, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে মানুষ যে কিছুটা উদ্বিগ্ন, সেটাও ঠিক। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়ও আছে। সে কারণেই তারা নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এ প্রেক্ষাপটে আরও কী করা যেতে পারে, কী করা প্রয়োজন, সেটি নির্বাচন কমিশনই ভালো বলতে পারবে। বিজ্ঞপ্তি