বাবার পর ৪ বছরের শিশুর 'করোনা পজিটিভ'

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাবার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার চার দিনের মাথায় চার বছরের মেয়ের শরীরেও এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় ২৯ জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হলেন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা সবাই বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। সখীপুরে শনাক্ত হওয়ার পর এই রোগে কেউ মারা যাননি। তবে একজন পোশাককর্মী মারা যাওয়ার পর নমুনা পরীক্ষা করে তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ আসমা আক্তার বলেন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের একজন প্রকৌশলী (৩৫) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করান। গত শনিবার তাঁর ফলাফল পজিটিভ আসে। সোমবার ওই প্রকৌশলীর স্ত্রী, চার বছরের মেয়ে এবং মা ও বাবা টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেন। মঙ্গলবার ওই পরিবারের কেবল চার বছরের শিশুটির করোনা পজিটিভ আসে। ওই প্রকৌশলীর বাড়ি উপজেলার নলুয়া গ্রামে হওয়ায় টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে মেয়েটির নাম সখীপুর উপজেলার শনাক্তের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

ওই প্রকৌশলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর আমার স্ত্রী ছোট মেয়েটিকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আমার সেবা করেছেন। অথচ আজকের ফলাফলে আমার স্ত্রী, মা, বাবা সবার নেগেটিভ হলেও দূরে থাকা আমার চার বছরের মেয়ের পজিটিভ আসে। এ ফলাফল নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আমার মেয়ের কোনো উপসর্গও নেই। তাই আজ সন্ধ্যায় আমার মেয়েকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করানো হবে।’

সখীপুরের ব্যাংক কর্মকর্তা জুয়েল মাহমুদের শরীরে গত ৫ জুন করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। গত ২৯ জুন তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সুস্থ ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ। গত রোববার থেকে তিনি পুনরায় ব্যাংকে কাজে যোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, গত ২১ এপ্রিল সখীপুরে ঢাকাফেরত রিপন মিয়া নামের একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ীর শরীরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ পর্যন্ত ৫৭৬টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩৪টি নমুনার ফলাফলে ২৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত হওয়া কাউকেই হাসপাতালে বা হাসপাতালের কোনো আইসোলেশন ওয়ার্ডেও ভর্তি করা হয়নি। সুস্থ হওয়া সবাই বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সেই হিসেবে উপজেলায় সুস্থ হওয়ার হার শতভাগ।