ফরিদপুরে আক্রান্ত আরও ১১৪

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসক, পুলিশসহ আরও ১১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৬৮৩। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব থেকে আজ মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য জানা গেছে।

আজ এ ল্যাবে মোট ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৫৫টি নমুনায় করোনাভইরাস শনাক্ত হয়েছে। অকার্যকর হয়েছে আটটি নমুনা। মোট নমুনার ৪২ দশমিক ১১ শতাংশ পজিটিভ। ফরিদপুরে নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন চিকিৎসক, একজন করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের কর্মী ও তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ১ জন উপপরিদর্শকসহ (এসআই) ১০ জন পুলিশ সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার ১ জন কর্মী, ২ জন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন।

ফরিদপুরে নতুন করে যে ১১৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৭২ জন; বোয়ালমারীতে ১২ জন; নগরকান্দায় ৮ জন; সালথা ও ভাঙ্গায় ৫ জন করে; আলফাডাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন ও মধুখালীতে ৩ জন করে রয়েছেন।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ থেকে ২০ বছরের আছেন মধ্যে ৮ জন, ২১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে আছেন ৫৮ জন, ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৪০ জন এবং ৬১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৮ জন রয়েছেন। নতুন শনাক্তের মধ্যে দুই মাসের একটি শিশু রয়েছে। নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩১ জন নারী ও ৮৪ জন পুরুষ।

গতকাল সোমবার পর্যন্ত ফরিদপুরে শনাক্ত হওয়া মোট ২ হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে সদরে ১ হাজার ৩৬২ জন, ভাঙ্গায় ৩৬৩ জন, বোয়ালমারীতে ২৯৫ জন, নগরকান্দায় ১৬৪ জন, সদরপুরে ১৫৩ জন, চরভদ্রাসনে ১০৫, মধুখালীতে ৮৩ জন, সালথায় ৮০ জন ও আলফাডাঙ্গায় ৭৮ জন রয়েছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘ফরিদপুরে করোনা–পরিস্থিতি অবনতির দিকে রয়েছে। প্রতিদিনই আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আমরা সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য কাজ করছি। কিন্তু মানুষ তা শুনছে না। ফলে করোনায় আক্রান্তে ব্যক্তির সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।’

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ফরিদপুরে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য রয়েছেন।