নওগাঁয় কাঁচা মরিচের কেজি ১৬০ টাকা

এক লাফে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। ১০-১২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মরিচের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পৌরশহর পাইকারি বাজার, নওগাঁ, ৭ জুলাই। ছবি: ওমর ফারুক
এক লাফে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। ১০-১২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি মরিচের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পৌরশহর পাইকারি বাজার, নওগাঁ, ৭ জুলাই। ছবি: ওমর ফারুক

১০-১২ দিন আগেও নওগাঁর বিভিন্ন হাটবাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। বর্তমানে সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও।

গতকাল মঙ্গলবার নওগাঁ পৌরশহরের পাইকারি বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আষাঢ় মাসের শুরু থেকে টানা বৃষ্টির কারণে জেলার মান্দা, বাদলগাছী ও নওগাঁ সদর উপজেলার অনেক নিচু এলাকার সবজি খেত বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়া অনেক সবজি খেতে পানি জমে যাওয়ায় মরিচসহ বিভিন্ন সবজি গাছের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় মরিচ, পটল, ঢ্যাঁড়সসহ বিভিন্ন সবজির সরবরাহ কমে গেছে। বৃষ্টির কারণে মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে।

নওগাঁ পৌরশহরের কাঁচাবাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০-১২ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন বিক্রেতারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম চাইছেন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। আকাশচুম্বী দাম শুনে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ছেন ক্রেতারা। মরিচের পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য সবজিরও। ১০-১২ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, করলা, পটল, বেগুন, কাকরোলসহ বিভিন্ন সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাকরোল ১২০ টাকা ও বেগুন ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

নওগাঁ পৌরশহরের পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদুল ও উত্তম কুমার জানান, টানা বর্ষণের কারণে নিচু এলাকার সবজি খেতগুলোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে মরিচ যে দাম ছিল বর্তমানে সেই মরিচ প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মরিচের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। আগে প্রতি দিন বাজারে যেখানে ৫০ থেকে ৬০ মণ মরিচের আমদানি হতো, এখন সেখানে ৩০-৩৫ মণ মরিচের আমদানি হচ্ছে। শুধু মরিচ নয় সব ধরনের সবজির সরবরাহ কমে গেছে। টানা বর্ষণ ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে আগামী দেড়-দুই মাস সবজির দাম বাড়তি থাকবে। দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একজন ক্রেতা আগে যেখানে আধা কেজি মরিচ কিনত এখন সেখানে ২৫০ গ্রাম করে মরিচ কিনছে।

হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নওগাঁ পৌরসভার বাঙ্গাবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে গাছ নষ্ট হইছে বলে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে বলে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা হিসেবে সরবরাহ ঠিক আছে। তারপরেও ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।