ধুনটে শিশুকে ধর্ষণ, কিশোর গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলার ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে (১৬) গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা-বাবা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় অবস্থান করছেন। শিশুটি দাদা-দাদির কাছে গ্রামের বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। তাঁদের অভাব–অনটনের সংসার। তাই গত সোমবার রাত ১০টার দিকে শিশুটির দাদা ও দাদি সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের তালিকায় নাম ওঠানোর জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান। এ সময় ওই শিশুটি ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দাদা-দাদির ঘরের ভেতর টেলিভিশন দেখছিল। এ সময় টেলিভিশন দেখার কথা বলে প্রতিবেশী এক যুবক (২৪) ও তাঁর ছোট ভাই (১৬) কৌশলে ওই ঘরের ভেতর ঢোকে।

টেলিভিশন দেখার একপর্যায়ে প্রথমে বড় ভাই ও পরে ছোট ভাই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে দুই ভাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রাত ১১টার দিকে শিশুটির দাদা-দাদি বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে তাঁদের নাতনিকে বিবস্ত্র অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে থানা-পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ওই কিশোরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মনিরা আকতার বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ধুনট থানাহাজতে আটক কিশোর বলে, ‘ছোট মানুষ। বুঝতে পারিনি। এ ধরনের কাজ করা ভুল হয়ে গেছে।’

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপাসিন্ধু বালা বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণকারীরা একই বাবার সন্তান। খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ছোট ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বড় ভাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোর। ফলে, ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।