গোপালগঞ্জে কোভিডে নতুন আক্রান্ত ৩৫ জন, মৃত্যু ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯৭।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন একজন। ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮৬ জন।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ৯ জন, মুকসুদপুরে ৫ জন, কোটালীপাড়ায় ৮ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় ১৩ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন (অবরুদ্ধ) করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৫ হাজার ৮৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৮৯ জন, কাশিয়ানীতে ১৬১ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ২৫৭ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৫৫ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৭৩ জন।

অন্যদিকে, ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে কোভিডে আক্রান্ত মোক্তার হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়। ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ১৫ জনের মৃত্যু হলো। মোক্তার হোসেনের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বেদগ্রাম পশ্চিমপাড়ায়।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন জানান, মোক্তার হোসেনের কোভিডের উপসর্গ দেখা দিলে গত ২২ জুন গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তিনি নমুনা দেন। পরে তাঁর নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে। তিনি বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

এর আগে জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে মুকসুদপুর উপজেলায় চারজন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চারজন, সদর উপজেলায় চারজন, কাশিয়ানী উপজেলায় দুজন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় একজন রয়েছেন।