তিন মাসে ময়মনসিংহে করোনায় মৃত্যু ২৪, আক্রান্ত ২০৮৯

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

ময়মনসিংহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তিন মাস পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জেলায় কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৯। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন। আজ বুধবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ খবর জানা যায়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ময়মনসিংহ জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ এপ্রিল। প্রথম ১০০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হতে সময় লাগে ১৯ দিন। আর ৫০০ রোগী ছাড়িয়ে যেতে সময় লেগেছিল ৫৩ দিন। ৩১ মে ৫০০ রোগী ছাড়িয়ে যায়। আর শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার স্পর্শ করে ১৫ জুন। অর্থাৎ ৫০০ থেকে ১ হাজার হতে সময় লেগেছিল ১৫ দিন। ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ হতে সময় লাগে মাত্র ৯ দিন। সর্বশেষ ৫০০ জন আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার হতে সময় লাগে ১১ দিন। প্রথম এক হাজার অতিক্রম করতে ৬৮ দিন সময় লেগেছিল। তবে পরের এক হাজার অতিক্রম করেছে মাত্র ২০ দিনে। এই ২০ দিনের মধ্যে দুই দিন পিসিআর ল্যাবে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪৬টি।

গত তিন মাসে জেলায় সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ময়মনসিংহ সদর উপজেলায়। এখানে করোনা রোগী ১ হাজার ২১৫ জন। এ ছাড়া ভালুকায় ২৩৭ জন, মুক্তাগাছায় ১০৭, ঈশ্বরগঞ্জে ৯১, ত্রিশালে ৮১, ফুলপুরে ৬৫, গফরগাঁওয়ে ৬২, ধোবাউড়ায় ৫৭, ফুলবাড়িয়ায় ৪৩ জনসহ জেলার সব উপজেলাতেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৪৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৮৬ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন উল্লেখ করে জেলা সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের হার কমে আসবে। সামনে কোরবানির সময় মানুষের চলাচল ও পশুর হাটে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে জেলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে চারজন করে; মুক্তাগাছা, ভালুকা ও ফুলপুরে তিনজন করে; ফুলবাড়িয়ায় দুজন এবং নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, তারাকান্দা, ধোবাউড়া ও গফরগাঁও উপজেলায় একজন করে রয়েছেন।