চুয়াডাঙ্গায় করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক বৃদ্ধ (৬৭) মারা গেছেন। সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটের ইয়েলোজোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুধবার রাতে তিনি মারা যান। এদিকে জেলায় পুলিশ, ব্যাংক কর্মকর্তা, শিশুসহ আরও সাতজনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। 

সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সদর হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

মারা যাওয়া বৃদ্ধের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল রাতেই তাঁকে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির জানান, কাদিপুরের ওই বাসিন্দা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমায় ভুগছিলেন। করোনাভাইরাসের বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল সকালে নমুনা সংগ্রহের পর তাঁকে খুলনার মিরেরডাঙ্গার সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু স্বজনেরা তাঁকে সেখানে নেননি। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

আরএমও বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ওই ব্যক্তিকে রাতেই নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে মোট ৫০টি নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে, যার মধ্যে সাতজনের পজিটিভ এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ২ হাজার ২৪৬ জনের নমুনার ফলাফল পাওয়া গেছে। মোট ১৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন ৩ জন।

নতুন শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত পুলিশের এক সদস্য, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা শাখার একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা, আলমডাঙ্গার এরশাদপুরের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক, জীবননগর পৌরসভার একজন টিকাদানকর্মী, দর্শনার কেরুজ আবাসিক এলাকার সাত বছর বয়সী এক শিশু এবং সদর হাসপাতালে কর্মরত এক স্বেচ্ছাসেবকের দুই স্বজন। আক্রান্ত সাতজনই বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।