করোনায় ফরিদপুরের আ.লীগ নেতা লোকমানের মৃত্যু

লোকমান হোসেন মৃধা
লোকমান হোসেন মৃধা

করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা লোকমান হোসেন মৃধা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার মহাখালীর গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন।

লোকমান হোসেন ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ফরিদপুর উচ্চবিদ্যালয়য়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্ত্রী, চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা।

লোকমান হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম জানান, লোকমান মৃধা শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে গত ২১ জুন ভোরে তাঁকে ফরিদপুর ডায়াবেটিক সামিতি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে ফরিদপুরের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২৩ জুন তাঁর করোনা শনাক্ত হয়। ২৫ জুন তাঁকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

ফরিদপুর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, লোকমান হোসেনকে ফরিদপুরে দাফন করা হবে।

লোকমান হোসেনের পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আসিরউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গী (ছোনের ট্যাক) গ্রামে। তবে পাশের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নেও তাঁর একটি বাড়ি আছে।

নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুজ্জামান জানান, লোকমান হোসেনের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ফরিদপুর সদরের চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের আসিরউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গী গ্রামে মা ও বাবার কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ জানান, বেলা দুইটার দিকে জুমা নামাজের পর লোকমান হোসেনের মরদেহ নিয়ে গাড়ি ঢাকা থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা। ফরিদপুরে পৌঁছানোর পর জেলা পরিষদের সামনে তাঁর মরদেহ কিছু সময়ের জন্য আনা হবে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁর প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

লোকমান হোসেনের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও আবদুর রহমান, ফরিদপুর-৩ সদর আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-১ আসনের সাংসদ মনজুর হোসেন এবং ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী শোক প্রকাশ করেছেন।