'মমতার দাওয়াই' পাঠানো সখীপুরের ইউএনও এখন নিজেই রোগী

টাঙ্গাইলের সখীপুরের ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা। ছবি: সংগৃহীত
টাঙ্গাইলের সখীপুরের ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা। ছবি: সংগৃহীত

কোভিড রোগীর কাছে ‘মমতার দাওয়াই’ পাঠানো টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। জেলার ১২টি উপজেলার ইউএনওদের মধ্যে তিনিই প্রথম কোভিড–১৯ শনাক্ত হলেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯১৪।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান আজ রোববার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সখীপুরে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৩৯।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যানবিদ আসমা আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার ইউএনওর স্বামীর করোনা শনাক্ত হয়। পরের দিন শুক্রবার তিনি, তাঁর ছেলে, মা ও গৃহপরিচারিকার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ রোববার সকালে শুধু ইউএনওর নমুনার ফলাফল পজিটিভ আসে।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবহান বলেন, ইউএনওর শরীরে জ্বর আছে। খাবারের রুচি নেই। এ ছাড়া তিনি খাবারের গন্ধ বুঝতে পারছেন না। তাঁর বাসায় অক্সিজেনের সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।


সখীপুরে কারও করোনা শনাক্ত হলে তাঁর মনে সাহস জোগাতে তাঁর বাড়িতে যেতেন ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা। সঙ্গে নিয়ে যেতেন এক ঝুড়ি মৌসুমি ফল। ‘মমতার দাওয়াই’ লেখা ঝুড়ি পেয়ে কোভিড রোগীদের ভালো লাগত, তাঁরা ভরসা পেতেন যে প্রশাসন তাঁদের সঙ্গে আছে।