বরিশালে করোনায় প্রথম নবজাতকের মৃত্যু

নবজাতক ।  প্রতীকী ছবি
নবজাতক । প্রতীকী ছবি

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে ১৭ দিন বয়সী এক নবজাতক আজ রোববার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মারা গেছে। এই প্রথম বরিশাল বিভাগে কোনো নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ওই ওয়ার্ডে নবজাতকটিসহ আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নবজাতকটিসহ দুজনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ। বাকি তিনজনের একজন নেগেটিভ এবং অপর দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ নিয়ে গত ২৮ মার্চ থেকে আজ রোববার পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মোট ১৫১ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ৫১ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা একটার দিকে হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে মারা যায় মাইশা আক্তার নামে ১৭ দিন বয়সী নবজাতক। বরিশাল নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাইশাকে ৬ জুলাই রাতে উপসর্গ নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর তার নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ পজিটিভ আসে।

এর আগে ওই ওয়ার্ডে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান লুৎফর রহমান (৬০) নামের এক ব্যক্তি। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি উপসর্গ নিয়ে গত ২৮ জুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এ ছাড়া নবজাতক মাইশার মৃত্যুর পরপরই আজ ওই ওয়ার্ডে মারা যান কদম আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসিন্দা কদম আলী উপসর্গ নিয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার পর তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো প্রতিবেদন আসেনি।

একই ওয়ার্ডে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে একটায় মারা যান আবদুল গনি হাওলাদার (৭০) ও সুফিয়া বেগম (৬০) নামের দুজন রোগী। গনি হাওলাদার উপসর্গ নিয়ে ৭ জুলাই রাতে ভর্তি হন। তবে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে।

আর ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাসিন্দা সুফিয়া বেগম আজ সকাল সাতটার দিকে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, পরীক্ষার প্রতিবেদন এখনো আসেনি।