অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে ফল প্রকাশ

সিলেটে বেতন বকেয়া থাকায় ব্রিটিশ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের ১৪৮ জন শিক্ষার্থীর বার্ষিক ফলাফল স্থগিত করা হয়েছিল। পরে অভিভাবকদের আন্দোলনের মুখে আজ রোববার সে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এর আগে ৫ জুলাই ওই ১৪৮ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত করা হয়েছিল। করোনা মহামারির এই সময়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে ‘অমানবিক’ আখ্যা দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং চলতি বছরের মার্চ থেকে জুনের শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়টি শহরের মদীনা মার্কেট এলাকায় অবস্থিত।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ কে মাহমুদুল হক বলেন, ফলাফল স্থগিত হওয়া শিক্ষার্থীদের ফল ই–মেইলের মাধ্যমে আজ সকাল থেকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতন দুই ধাপে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া বেতন জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত এবং বাকি ৩ মাসের বেতন আগস্ট মাসের ১৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে।

অভিভাবকেরা বলেন, বিদ্যালয়ে করোনাকালীন চার মাস ধরে কোনো ক্লাস হয়নি। অনলাইনেও কোনো ক্লাস হয়নি। তারপরও পুরো মাসের বেতন দিতে অভিভাবকদের বাধ্য করা হয়েছে।

সিলেটের ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের অভিভাবক অ্যাসোসিয়েশনের ব্রিটিশ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল শাখার আহ্বায়ক সুলতানা জাহান বলেন, করোনাকালীন চার মাসের টিউশন ফি অর্ধেক হারে গ্রহণ এবং পুনরায় ভর্তি ফি বাতিলের দাবি তাঁরা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এমন দাবি উপেক্ষা করে টিউশন ফি বকেয়া থাকায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছিল। এখন তাঁদের আন্দোলনের মুখে সেটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা হয়নি। অথচ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনাকালে শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ বেতন মওকুফ করা হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আবদুল মুকিত বলেন, ফলাফল স্থগিত হওয়া ১৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪ জন শিক্ষার্থীর ১ মাসের, ১৬ জন শিক্ষার্থীর ২ মাসের, ৩৯ জন শিক্ষার্থীর ৩ মাসের এবং ৪৮ জন শিক্ষার্থীর ৪ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। বাকি ৩১ জন শিক্ষার্থীর ৫ মাসের অধিক সময়ের বেতন বকেয়া ছিল। বিভিন্ন বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের ১৮ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ কে মাহমুদুল হক বলেন, করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করা না হলেও সেশন ফির বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে।