ঈদের জামাত মসজিদে আদায়ের অনুরোধ সরকারের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামাতও ঈদগাহ বা উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। 

আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ রোববার ভার্চুয়ালি (অনলাইন) অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভা থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়। এর আগে গত ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতও অনুষ্ঠিত হয়েছিল মসজিদে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় এ বছর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। কোরবানির পর বর্জ্য দিয়ে যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধময় না হয় সে বিষয়ে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে বাণী দেবেন। সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং 'ঈদ মোবারক' খচিত ব্যানার ঢাকা মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক আইল্যান্ডগুলোতে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়। ঈদুল আজহার রাতে নির্দিষ্ট সরকারি ভবনগুলোতে এবং সামরিক গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হবে।
সারাদেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রধানেরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিছুর রহমানের পরিচালনায় এই সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাস্ট্র, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়, তথ্য, জনপ্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় , ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এ ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ওলামায়ে কেরাম এতে অংশ নিয়ে মতামত দেন।