বিপৎসীমার ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তিস্তা নদীর পানি

তিস্তা নদীর বন্যায় নীলফামারীর ডিমলার বিভিন্ন গ্রামে বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও আবাদি জমি। অনেকে ভাঙনের মুখে তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চর গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো
তিস্তা নদীর বন্যায় নীলফামারীর ডিমলার বিভিন্ন গ্রামে বিলীন হচ্ছে বসতঘর ও আবাদি জমি। অনেকে ভাঙনের মুখে তাদের বসতঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের টাপুর চর গ্রামে। ছবি: প্রথম আলো

তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। গতকাল রোববার রাত ১১টায় এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫৩ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এর আগে রাত ১০টায় একই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৩ দশমিক ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি ছিল ২০১৯ সালের তুলনায় একই পয়েন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিপৎসীমা অতিক্রমের রেকর্ড। ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই এই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার অতিক্রমের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ডালিয়া এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।

১৯৯০ সাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে দায়িত্ব পালনকারী গেজ রিডার বা পানি পরিমাপক নুর ইসলাম বলেন, ‘আমি ১৯৯০ সাল থেকে এখানে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমার মাপার কাজ করি। আজকের মতো এত বেশি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হতে দেখি নাই।’