কাউখালীর ইউএনওর করোনা শনাক্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. খালেদা খাতুনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের পরীক্ষাগার থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে জেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা ৪০৬ জন।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার ইউএনও মোছা. খালেদা খাতুন ও তাঁর মেয়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ইউএনওর করোনা পজেটিভ এবং তাঁর মেয়ের করোনা নেগেটিভ ফল এসেছে। ইউএনও তাঁর সরকারি বাসভবনেই আইসোলেশনে আছেন।

গত ১৩ এপ্রিল জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় প্রথম এক ব্যক্তির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। মঠবাড়িয়া উপজেলায় জেলার সর্বোচ্চ ১২৮ জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ৬৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। এতে পিরোজপুর সদর উপজেলার ছয়জন, মঠবাড়িয়ার পাঁচজন, কাউখালীর তিনজন ও নাজিরপুরের তিনজনের করোনা পজেটিভ ফল পাওয়া গেছে। 

পিরোজপুরের সিভিল সার্জন মো. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, সম্প্রতি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড–১৯ রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকেরা যোগাযোগ করে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কোনো রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়ে থাকে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৮১ জন, ভান্ডারিয়ায় ৭৬ জন, মঠবাড়িয়ায় ১২৮ জন, ইন্দুরকানিতে ২২ জন, নেছারাবাদে ৪৫ জন, কাউখালীতে ৩০ জন ও নাজিরপুরে ২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। জেলায় এ পর্যন্ত ৭ জন কোভিড–১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।