গাইবান্ধায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। গবাদিপশু রাখার জায়গা নেই। তাই নৌকায় করে গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দি গ্রামের কৃষক জোব্বার মিয়া। ছবি: প্রথম আলো
বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। গবাদিপশু রাখার জায়গা নেই। তাই নৌকায় করে গবাদিপশু নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দি গ্রামের কৃষক জোব্বার মিয়া। ছবি: প্রথম আলো

অবিরাম ভারী বর্ষণ এবং উজানের ঢলে দ্বিতীয় দফায় গাইবান্ধা জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ৩টা থেকে আজ সোমবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৩টি উপজেলার নদীতীরবর্তী আরও ৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এই ইউনিয়নগুলো হলো সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি। এ নিয়ে জেলার ১৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হলো।

এ ছাড়া গতকাল প্লাবিত হওয়া ইউনিয়নগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তারা ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। ঘাঘট নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের ডেভিট কোম্পানি এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদ–নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আজ বেলা তিনটায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদের পানি নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে করতোয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে প্রতিটি নদ-নদীর পানির বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েক দিনে পানি আরও বাড়তে পারে। পানি বাড়লে বড় বন্যা হতে পারে।