বেনাপোলের তিন শুল্ক কর্মকর্তা বরখাস্ত

বেনাপোল। ফাইল ছবি
বেনাপোল। ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের তিন শুল্ক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা ইলেকট্রনিকস পণ্যের প্রায় ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিতে সহযোগিতার অভিযোগে ওই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজস্ব ফাঁকিতে সহায়তা করায় দুটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে।


৮ জুলাই বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী ওই শুল্ক কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত এবং দুটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করেন। আজ সোমবার বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. নেয়ামুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন শুল্ক কর্মকর্তা হলেন, বেনাপোল কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাশিদুল হক, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আশাদুল্লাহ ও ইবনে নোমান। লাইসেন্স বাতিল হওয়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দুটি হলো বেনাপোলের ‘মদিনা এন্টারপ্রাইজ’ ও ‘মাহিবি এন্টারপ্রাইজ’।

কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, ঢাকার প্রতিষ্ঠান ‘আলহামদুলিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ’ গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারত থেকে ৬৬৫ প্যাকেজ ইলেকট্রনিকস পণ্য আমদানি করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কৌশলে একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও দুজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করে পণ্যের চালানটি গোপনে খালাস করে। পরে কর্মকর্তারা জানতে পারেন, চালানে বড় ধরনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।

২ জুলাই অতিরিক্ত কমিশনার মো. নেয়ামুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে চালানটির চার ট্রাক পণ্য আটকের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার এক মাস আগে গত ২ জুন তিন রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগিতায় ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে সরকার প্রায় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ববঞ্চিত হয়। ট্রাক আটকের বিষয়ে তাঁরা অতিরিক্ত কমিশনারের নির্দেশনা পালনে গড়িমসি করতে থাকেন। পরে তদন্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় ওই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে দুই সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পাঠানো হবে।