ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার বাসার রিমান্ডে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবিতে ৩৪ মৃত্যু ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার মো. আবুল বাসারকে জিজ্ঞাসাবাদে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।আজ মঙ্গলবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএফএম মারুফ চৌধুরী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সদরঘাট নৌ থানা-পুলিশ আসামি বাসারকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌঁসুলি আনোয়ারুল কবির। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে বাসারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ফরাশগঞ্জ ঘাটের কাছে ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের ছোট একটি লঞ্চ ডুবে যায়। এতে নারী–শিশুসহ ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। পরদিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা হয়। আবুল বাসার ওই মামলার দুই নম্বর আসামি।

আবুল বাসারকে গ্রেপ্তারে রোববার র‍্যাব–১০ এর একটি দল উপঅধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালায় ।
র‌্যাব জানায়, লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে আবুল বাসার আত্মগোপনে চলে যান। ঘটনার পরপরই ঢাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তিনি মাগুরায় চলে যান। রাতের খাবার খেয়ে পাশের একটি বাড়িতে চলে যান। পরের দিন ছিলেন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায়। সেখানে দুইদিন থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়া তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। এরপর ঢাকার দিকে রওনা দেন।

র‌্যাব-১০ এর দলটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আবুল বাসারের অবস্থান জানতে পেরে তাঁকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। একই মামলায় এমভি ময়ূর-২ এর মালিক মোসাদ্দেক সোয়াদ এবং সুপারভাইজার আব্দুস সালাম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।পলাতক আছেন লঞ্চের আরেক মাস্টার জাকির হোসেন, চালক শিপন হাওলাদার ও শাকিল হোসেন এবং সুকানি নাসির মৃধা ও মো. হৃদয়।