৮৯৮ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা, জরিমানা ২১ লাখ টাকা

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় দফায় বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে (চিরুনি অভিযান) নেমে ৮৯৮টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ১০ দিনের এই অভিযানে সংস্থাটি ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করেছে। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২০ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

৪ জুলাই থেকে আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত একযোগে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে ৫ জনের একটি দল স্থাপনা পরিদর্শন করছে। অর্থাৎ, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫০ জন অভিযান চালান। মশকনিধনকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা একসঙ্গে কাজ করেন।

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন করা এবং এডিস মশার বংশবিস্তারের স্থান নিয়ন্ত্রণ করা না হলে করোনা মহামারির মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।

দ্বিতীয় দফায় অভিযান শেষে দেখা যাচ্ছে, স্থাপনাগুলোতে এডিসের লার্ভা পাওয়ার সংখ্যা কমছে প্রায় অর্ধেক। একই সঙ্গে এডিসের বংশবিস্তার উপযোগী স্থাপনার সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। এবারের অভিযানে সংস্থাটি শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে। আর ৫৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ৫ জুন থেকে ১৫ জুন ১০ দিনে প্রথম দফায় চিরুনি অভিযানে প্রায় ৬৭ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ দেখা গেছে। প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল।

ডিএনসিসির জনসংযোগ শাখা থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় চিরুনি অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬৮টি মামলা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১০ টাকা। প্রথম দফায় জরিমানা করা হয়েছিল ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগামী মাসের ৮ তারিখ থেকে ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে তৃতীয় দফায় চিরুনি অভিযান চালাবেন তাঁরা। আর কোরবানির ঈদের আগে ডিএনসিসি এলাকার হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালানো হবে। একই সঙ্গে কোরবানির হাটগুলোর আশপাশেও অভিযান চলবে।