বাংলাদেশি হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিজিবির তাগিদ

করোনাকালে সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ভারতীয় খাসিয়াদের আইনের আওতায় আনতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) তাগিদ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তবর্তী কালাসাদেক এলাকায় জনসচেতনতামূলক এক সভায় এ কথা জানিয়েছেন বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন।

সভার পর বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে তাগাদা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগের চেয়ে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি ও জনসাধারণকে সচেতন থাকার বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়।

করোনাকালে সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধীন কোম্পানীগঞ্জের উৎমা এলাকায় সর্বশেষ গত শনিবার ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে মো. বাবুল হোসেন (২০) নামের এক বাংলাদেশি নিহত হন। এর আগে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে একজন ও ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে চারজন বাংলাদেশি নিহত হন।

এমন পরিস্থিতিতে ৪৮ বিজিবির উদ্যোগে সীমান্তে সর্বশেষ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জনসচেতনতামূলক এই সভার আয়োজন করা হয়। সীমান্তের কালাসাদেক বিওপিসংলগ্ন এলাকায় দুপুরে অনুষ্ঠিত সভায় কর্নেল মাহমুদ মাওলা ডন, লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল উপস্থিত ছিলেন। এতে বক্তব্য দেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলার বিশেষ শাখা) মো. আমিনুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও সুমন আচার্য্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামীম আহমদ প্রমুখ।

সভায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন বলেন, সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবির টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে প্রতিপক্ষ বিএসএফ বরাবর এসব ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যাকারী বা অপরাধী ভারতীয় খাসিয়া নাগরিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারে বিএসএফকে তাগাদা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও অনুরোধ জানানো হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার জনসাধারণের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ বেসরকারি সংস্থাগুলোকে (এনজিও) এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।