এক মাসের শিশুটিও রক্ষা পেল না

প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। ছবি: রয়টার্স

নওগাঁ সদর উপজেলায় এক মাস বয়সী একটি শিশু ও তাঁর মাসহ আরও ১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া নতুন শনাক্তদের মধ্যে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

আজ বুধবার সকালে নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মুর্শেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৯৬ জন। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫১৪ জন। মারা গেছেন ১১ জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চ সেন্টার ও বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ল্যাব থেকে নওগাঁর ৫৫টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। তাতে ১৭ জনের করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। এর মধ্যে পত্নীতলা উপজেলায় দুই চিকিৎসকসহ ১২ জন, সদর উপজেলায় ৩৩ দিন বয়সী শিশু ও তাঁর মাসহ ৩ জন, বদলগাছীতে ১ ও আত্রাইয়ে ১ জন রয়েছেন।

পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ ছাড়াও পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া সদর হাসপাতালের একজন নৈশপ্রহরী ও পত্নীতলা উপজেলার একজন উপসহকারী কমিউনিটি চিকিৎসা কর্মকর্তা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ মুর্শেদ বলেন, সদর উপজেলায় কোভিডে আক্রান্ত শিশুটির জন্মের পরপরেই নিউমোনিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এক সপ্তাহ আগে তাকে বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শিশুটি ও তাঁর বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে শিশুটি ও তার মায়ের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, নতুন করোনা শনাক্ত সবাই বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে কারওর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে এবং তাঁদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।