দিনাজপুরে কোভিডে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনের মৃত্যু

দিনাজপুরে কোভিড–১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় এ রোগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২১। বুধবার ভোরে বিরামপুর উপজেলা শহরের বিনোদনগর ইউনিয়নের তর্পনঘাট এলাকায় নিজ বাসায় আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন আবদুল গফুর (৮৫) নামের এক ব্যক্তি। একই দিনে একই সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুর রহমান (৫৩)।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর পৌর শহরে বালুয়াডাঙ্গা এলাকার মো. আবদুল জলিল (৭৬) নামের এক ব্যক্তি এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি দিনাজপুর পৌর শহরের বালুয়াডাঙ্গা কানা হাফেজের মোড় এলাকার কিনার মোহাম্মদের ছেলে। তিনি দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক রেজিস্ট্রার ছিলেন।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁদের দাফনকাজ সম্পন্ন করে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে বার্ধক্যজনিত রোগে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন আবদুল গফুর। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর।

জেলা সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুস বলেন, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২ জুলাই নমুনা পরীক্ষা করান চিরিরবন্দরের সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। পরের দিনই এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।

দিনাজপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৩৯। সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৬১০ জন। আর মারা গেছেন ২১ জন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ১২ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৫ জন।