কোনো শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ক্লাস থেকে বাদ না দিতে নির্দেশ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতিতে টিউশন ফি দিতে না পারার কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ক্লাস থেকে বঞ্চিত না করতে উত্তরার ডিপিএস এসটিএস স্কুলকে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টিউশন ফি পরিশোধে আপত্তি জানিয়ে ৫০ শতাংশ ফি মওকুফ চেয়ে রিট আবেদনকারীর করা আবেদনটি সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ইংরেজি মাধ্যমের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. কামরুজ্জামান কামরুল ১২ জুলাই ওই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ওমর ফারুক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজাওয়ার।

রিট আবেদনের তথ্য, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার টিউশন ফি আদায় বিষয়ে অভিভাবকদের চাপ না দিতে সব স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে। এ নির্দেশনা অনুসরণ না করে ১০ জুন ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ ই-মেইলের মাধ্যমে অভিভাবকদের জরুরি ভিত্তিতে টিউশন ফি জমা দিতে বলে। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ও ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ বিষয়ে রিট আবেদনকারী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে ৫ জুলাই একটি আবেদন দেন।

ওই আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ার প্রেক্ষাপটে রিটটি করা হয় বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী ওমর ফারুক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের করা আবেদনটি সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ইংরেজি মাধ্যমের ডিপিএস এসটিএস স্কুলে এখন অনলাইনে ক্লাস তথা পাঠ কার্যক্রম চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে টিউশন ফি না দিতে পারার কারণে ওই স্কুলের কোনো শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাস সুবিধা থেকে বঞ্চিত না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ১৫ দিনের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।